সাকিবের মাস্টারক্লাস ও রিশাদের স্পিন ঘূর্ণিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে আনঅফিশিয়ালি সুপার এইটে চলে গিয়েছে টাইগার্সরা। শেষ ম্যাচে শ্রীংলকা যদি নেদারল্যান্ডসকে হারায় তবে গ্রুপ ডি এর দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ দল।তাছাড়াও নেদারল্যান্ডস জয় পেলেও নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করবে তাদের সুপার এইট পথযাত্রা।
সুপার এইটে যাওয়ার অঘোষিত সেমিফাইনালে কিংসটাউনের সেন্ট ভিনসেণ্ট এ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।যদিও ম্যাচ শুরুর আগে বৃষ্টির শংকা ছিল তবে সফলভাবেই ম্যাচটি সম্পন্ন হয়েছে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই চিরপরিচিত বাংলাদেশের দেখা মিলে। অধিনায়ক শান্ত ও লিটন ফেরেন দ্রুতই৷ এক প্রান্ত আগলে রেখে কিছুটা এ্যাটাকিং খেলতে থাকেন তানজিদ তামিম।তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিব আল হাসান। ৩৫ করে তামিম আউট হলে ক্রিজে আসেন হৃদয়। তবে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা হৃদয় সুবিধা করতে পারেননি এদিন। ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা সাকিব এদিন দলের ত্রানকর্তা হন। তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। তার ৪৬ বলে ৬৪। মাহমুদউল্লাহর ২১ বলে ২৫ ও জাকের আলীর ৭ বলে ১৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৫৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে ডাচরা। ৩য় ওভারে রান তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার মাইকেল লেভিট। তাসকিনকে একটি ছক্কাও হাকান তিনি। তবে ব্যক্তিগত ২য় ওভারেই লেভিটকে ফেরাব তাসকিন।এরপর অসাধারণ এক ক্যাচে ও’ডাউডকে ফেরান তানজিম সাকিব।উইকেটের পতন হলেও আক্রমণাত্নক খেলতে থাকেন বিক্রমজিত ও এঙ্গেলব্রেথ। তবে এ জুটি ভাঙ্গেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক এডওয়ার্ডস এর সাথে ডাচদের ম্যাচ জিতানোর স্বপ্ন দেখতে থাকেন এঙ্গেলব্রেথ৷ তবে সে স্বপ্নভঙ্গ করেন রিশাদ। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে তুলে নেন ২ উইকেট। তাতেই ব্যাটিং ধস নামে ডাচদের।১৬ তম ওভারে সাকিব দেন মাত্র ৫ রান। ১৭ তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর।তাতেই জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের।শেষে ১৩৪ রান তুলতেই সক্ষম হয় ডাচরা। ২৫ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
এ জয়ে মোটামুটি সুপার ৮ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে টাইগারদের। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে গ্রুপ ডি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সুপার এইটে খেলবে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের এ জয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলংকার।