site loader
ইংল্যান্ড, স্পেনের পর মেক্সিকোকে রুখতে পারবে কি তারুণ্য নির্ভর ব্রাজিল?

ইংল্যান্ড, স্পেনের পর মেক্সিকোকে রুখতে পারবে কি তারুণ্য নির্ভর ব্রাজিল?

ফুটবল ইতিহাসে ব্রাজিল হল অন্যতম একটি দল। যে দলটি অধিক পরিমাণ বিশ্বকাপ জয় লাভ করতে পেরেছে। আর সে কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ ব্রাজিল এর সাপোর্টার রয়েছে। আর আগামীকাল মুখোমুখি হবে ব্রাজিল -মেক্সিকো।

মোট ৪১ বার ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। আর এই ফুটবল ম্যাচ গুলো তে ব্রাজিল ২৪ টি ম্যাচে জয়লাভ করে এবং দশটি ম্যাচে মেক্সিকো জয়লাভ করে। সেই সাথে ব্রাজিল বনাম মেক্সিকোর ৭ টি ফুটবল ম্যাচ ড্র হয়।
২০২৩ বছরটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে ব্রাজিলের। গেল বছর ৯ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হেরেছিল সেলেসাওরা। তবে গেল বছরের দুঃস্বপ্ন ভুলে ২০২৪ সাল নতুন করে শুরু করতে মরিয়া ব্রাজিল। আর সেই লক্ষ্যে বছরের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি সেলেসাওরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এদিন নিজের অভিষেক গোল করেন ১৭ বছর বয়সী এন্ড্রিক। আর তার গোলেই জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে সাম্বার দেশ।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের প্রীতি ম্যাচে এন্ড্রিকের ওই একমাত্র গোলে জয়ের হাসি হেসেছে ব্রাজিল। দরিভালের কোচিংয়ে এটাই তাদের প্রথম ম্যাচ।
এরপর ব্রাজিল মুখোমুখি হয় শক্তিশালী স্পেনের বিপক্ষে। স্পেনের হুম মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পরলেও পরবর্তীতে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। শেষ মূহুর্তে ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় সেলেসাওদের।

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় কেইলি ফিল্ড স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল -মেক্সিকো।
কোচ দরিভালের নেতৃত্বে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা চাইবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে।

ব্রাজিলিয়ান সাম্বা নাকি মেক্সিকান ওয়েভ

ব্রাজিলিয়ান সাম্বা নাকি মেক্সিকান ওয়েভ

লাতিন ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা।আর সেই কোপা আমেরিকাতেই খেলে থাকে ফুটবল ইতিহাসের সবথেকে সফলতম দল ব্রাজিল।তবে সেই কোপার আসরের আগে তারা দুটি প্রিতি ম্যাচ খেলবে মেক্সিকো ও আমেরিকার সাথে।

 

 

আগামী ৯ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাদের প্রথম প্রিতি ম্যাচ মেক্সিকোর সাথে।গেলো ওয়াল্ড কাপে কোয়াটার ফাইনালে বিদায়ের পর থেকেই যেন ব্রাজিল তাদেরকে হারিয়ে খুজেছে।নানা আলোচনা সমালোচনার পর কোচের দায়িত্ব নেন দারিভাল জুনিয়র।এবার তাদের লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে কোপা।

কোচ দারিভাল জুনিয়র তার এর আগের দুটি ম্যাচে দেখিয়েছেন তার সাফল্য।ইউরোপের দুই পরাশক্তি ইংল্যান্ড ও স্পেনের সাথে যথাক্রমে একটিতে জয় আর একটিতে ড্র তাদের।অপরদিকে মেক্সিকোর শেষ ৫ ম্যাচে ৩ টিতে হার ও ২ টিতে জয়।সবশেষে উরুগুয়ের কাছে ৪-০ র বিশাল ব্যাবধানে হারে তারা।

তবে দুই টিমের শেষ ৫ দেখায় জয় নেই কোনো মেক্সিকোর।ব্রাজিলের ৪ টিতে জয় একটিতে ড্র।এদিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে সেলেসাওরা।সেলেসাওদের সবাই এখন দারুন ফর্মে। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতলো ভিনি,রদ্রিগো,মিলিতাও।তাছাড়া দলের বাকিরাও রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে।

সবমিলিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রাখা যায় ব্রাজিলকে।কোপা আমেরিকা তারা তাদের ঘরে তুলেছে ৯ বার।শেষ ২০১৯ এ পেরুকে ৩-১ এ হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা।

‘বিশ্বকাপের চেয়ে ইউরো জেতা বেশি কঠিন’ -এমবাপ্পে

‘বিশ্বকাপের চেয়ে ইউরো জেতা বেশি কঠিন’ -এমবাপ্পে

ফুটবল টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে ফিফা বিশ্বকাপকেই সবার উপরে স্থান দিয়ে থাকেন সব ফুটবলার।এই বিশ্বকাপ জেতাই থাকে সকল ফুটবলারদের ক্যারিয়ারের লক্ষ্য।আবার অনেকের কাছে বিশ্বকাপ খেলতে পারাটাই যেন বিশ্বকাপ জেতার সমান।তবে এই বিশ্বকাপ যিনি একবার নিয়েছেন (কিলিয়ান এমবাপ্পে) তিনি যা বললেন তা চমক লাগার মতোই।এমবাপ্পের মতে বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দিতামূলক টুর্নামেন্ট হলো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।

দুই টুর্নামেন্টের তুলনার আগে তার ফরম্যাটগুলো গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে পুরো পৃথিবী থেকে,বিভিন্ন মহাদেশ থেকে আসা দলগুলো খেলে থাকে,অপরদিকে ইউরো-তে খেলো শুধুমাত্র ইউরোপের দলগুলো।যার ফলে মাঠে জমে ওঠে এক কঠিন লড়াই।বিশ্বকাপে নকআউট এর পরেও অনেক ছোট দল থাকলেও ইউরো-তে শুরু থেকেই চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।মোট কথা এখানে বড়-ছোট টিম বলে কিছু নেই।

গত মঙ্গলবার,নিজ জাতীয় টিম ফ্রান্সের অনুশীলনের পর একটি সংবাদ সম্মেলনে ইউরো-কে বিশ্বকাপের চেয়ে এগিয়ে রাখার কারণ তুলে ধরে ধরেন এই ফুটবলার।এমবাপ্পে বলেন,

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খুবই জটিল, আমার কাছে এমনকি বিশ্বকাপের চেয়েও ইউরোতে খেলা বেশি কঠিন বলে মনে হয়। যদিও বিশ্বকাপে বেশি চাপ থাকে, কিন্তু ইউরোতে আমরা এক দল অন্য দলকে চিনি। আমরা একে ওপরের বিপক্ষে নিয়মিত খেলি, ট্যাকটিক্যালিও সব দল অনেকটা একই ধাঁচের ফুটবল খেলে।

এমবাপ্পের এই কথায় দ্বিমত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।কেউ তার মতামতকে সমর্থন করবে,কেউবা করবে না।ফ্রান্সের দিক দিয়ে দেখলে বিশ্বকাপে ভালো করাটাই তাদের কাছে অধিক সহজ।২০১৮ তে চ্যাম্পিয়ন,২০২২ এ আর্জেন্টিনার কাছে পেনাল্টিতে হেরে রানারআপ।তার আগেও তারা ২০০৬ সালে খেলেছিল ফাইনাল।

অপরদিকে ইউরোতে ফ্রান্স শেষ চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেয়েছিল ২০০০ সালে।২০১৬ তে শিরোপার সন্নিকটে এসেও পর্তুগালের কাছে হেরে হয় রানার্সআপ এবং ২০২১ সালে শক্তিশালী দল নিয়েও বিদায় নিতে হয়েছে শেষ ষোলেতেই।

ছাঁটাই করায় জাভিকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে বার্সেলোনার? Xavi Hernandez

ছাঁটাই করায় জাভিকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে বার্সেলোনার? Xavi Hernandez

বার্সেলোনায় প্রায় তিন বছর কোচিং করানোর পর শেষ হতে চলেছে জাভি হার্নান্দেজ অধ্যায়। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে আর থাকছেন না জাভি হার্নান্দেজ। কাতালান ক্লাবটি সাবেক এ লিজেন্ড খেলোয়াড়কে তাদের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করেছে।

২০২১ সালে কোচ হয়ে বার্সেলোনায় ফিরেছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। তার সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার বছরখানেক আগেই ছাঁটাই হয়েছেন তিনি। এ জন্য বার্সাকে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। এটি দেড় কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯০ কোটি টাকা।

এই টাকাটা দুইভাগে বিভক্ত হবে। জাভি পাবেন অর্ধেক টাকা আর বাকি অর্ধেক পাবেন তার কোচিং স্টাফরা।

স্পেনের কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লা লিগায় কোচদের ক্ষেত্রেও যেহেতু বেতনসীমা-সংক্রান্ত নীতি আছে, তাই পাওনা টাকা থেকে কিছুটা ছাড় দেবেন জাভি। ৭৫ লাখ ইউরোর পরিবর্তে তিনি ৭০ লাখ ইউরো (৮৯ কোটি টাকা) নেবেন। এতে করে নিজের লভ্যাংশ কিছুটা কম হলেও বার্সাকে আর্থিক সংগতি নীতি ভাঙার ঝামেলায় পড়তে হবে না।

আজকে (রবিবার) সেভিয়ার বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনাকে বিদায় জানাবেন জাভী হার্নান্দেজ।

টনি ক্রুস | Toni Kroos : The German Sniper

টনি ক্রুস | Toni Kroos : The German Sniper

জিনেদিন জিদান একবার বলেছিলেন বার্সা ৪০টি পাস দিয়ে যা করবে, টনি ক্রুস সেটা এক পাস দিয়ে করে ফেলবেন।

বেশি দূর যাওয়া লাগবে না, ক’দিন আগে যারা রিয়াল বনাম বায়ার্ন এর মধ্যবর্তী খেলা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবে জিদানের কথার মাহাত্ম্য। ফুটবল ইতিহাসে তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টানা ১০ বছর ধরে পাসিং একুরেসি ৯০% এর উপরে রেখেছিলেন। সত্যি অবিশ্বাস্য, তিনি টনি ক্রুস যার খেলা দেখলে আপনি প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হবেন।

গ্যারেথ বেলকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,

‘আপনি কি জানেন রিয়াল মাদ্রিদের একমাত্র খেলোয়াড় হচ্ছেন টনি ক্রুস যিনি নিজের বুট নিজেই পরিষ্কার করেন?’

বেলের অভিব্যক্তিই বলে দিয়েছিল, ব্যাপারটা কতটা বিস্ময়কর। রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের একজন মিডফিল্ড-মায়েস্ত্রো নিজেই পরিষ্কার করছেন নিজের বুট! অবশ্য টনি ক্রুস মানুষটাই এমনই। চুপচাপ নিজের কাজটা করে যান, নিভৃতে-আবডালে।

আচ্ছা বলেন তো, আপনি কেন তাকে মনে রেখেছেন? বেলো হরাইজন্তে ব্রাজিলকে ছিঁড়েখুড়ে ফেলা ক্রুস হিসেবে, নাকি লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ট্রিনিটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নেপথ্যের নায়ক হিসেবে? নাকি মনে রেখেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে অন্তিম মুহূর্তের ফ্রি-কিকে, আহ, অবিশ্বাস্য? এটাই সত্যি যে, আর যে কারো থেকেই অনেকটাই আড়ালে থাকেন ক্রুস, সম্ভবত তিনি এই রকম থাকতে ভালোবাসেন । তবে আপনি মনে রাখুন আর না-ই রাখুন, প্রজন্মের সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে ক্রুসের নাম উচ্চারিত হবে বেশ জোরেশোরেই।

লাল-সবুজ পতাকা রাঙাতে আসছেন হামজা চৌধুরী | Hamza Chowdhury will play for Bangladesh

লাল-সবুজ পতাকা রাঙাতে আসছেন হামজা চৌধুরী | Hamza Chowdhury will play for Bangladesh

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলেন ডিফেন্ডার হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটি আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ খেলার টিকেট ইতিমধ্যে তার হাত ধরে নিশ্চিত করে ফেলেছে। বাংলাদেশি বংশদ্ভুত এই ফুটবলারের বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার বিষয়ে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে। এখন এই গুঞ্জন সত্যি হতে চলেছে।  কয়েকদিন আগে হামজা জানান, তিনি বাংলাদেশের হয়েই খেলতে চান। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তাকে পাওয়ার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার আজ জানান, “সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে চলতি বছরই লাল সবুজ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে হামজার”

তিনি আরও বলেন,  “আমাদের ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের (হাইকমিশনারের) সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর রাষ্ট্রদূত নিজে হামজার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। হামজার পরিবার যখন যখন দূতাবাসে (হাইকমিশনে) যাবেন, তখন তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে রয়েছি। কাগজ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।

যেন দ্রুত তিনি অপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন (বাংলাদেশী পাসপোর্টের আবেদন করার) আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।”

হামজার মা বাংলাদেশি হওয়ায় বাফুফের জন্য কাজটা সহজ হচ্ছে বলে জানান তুষার। বাফুফের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হামজার একটা সুবিধা হচ্ছে তার মা বাংলাদেশি। ফলে তার ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর দৈত্ব নাগরিকত্বের জন্য তার আবেদন করতে হবে। এরপর তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে সেই কাজও এগিয়ে রাখছি। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন।’


এর আগে নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জামাল ভুঁইয়া, তারিক কাজী, নাইজেরিয়ান নাগরিক এলিটা কিংসলেসহ বেশ ক’জন।  

 Name

 Hamza Chowdhury

 Date of birth

 01/10/1997 (26 Years)

 Nationalilty

 England

 Club

 Leicester City FC

 Hight

 1.78m

 Jersey Number

 17

 possition

 Central Midfield

 Rating

 85

Saint Iker Casillas | ইকার ক্যাসিয়াস

Saint Iker Casillas | ইকার ক্যাসিয়াস

ইকার ক্যাসিয়াস ফার্নান্দেজ। একটা নাম, একটা আভিজাত্য। আবেগ আর অনুপ্রেরণা, বিস্ময়ের ঘোর এই ক্যাসিয়াস। যিনি তার অর্জন দিয়ে হয়েছেন নিজের সময়ের সেরা গোলকিপার। স্পেনের হয়ে ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো জেতা থেকে শুরু করে ফুটবলের প্রায় সম্ভাব্য সকল ট্রফিতে চুমো দিয়ে ফেলেছেন ইকার ক্যাসিয়াস।

 

একবার বলেছিলেন, ‘Most kids dream of scoring the perfect goal. I’ve always dreamed of stopping it!’

আপনার স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল ক্যাসিয়াস! আপনি দুর্দান্ত সব গোল থামিয়ে দিতে পেরেছিলেন। সেই গোল থামানোর অনেক গল্প করা যাবে। তবে গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল বা ২০১০ বিশ্বকাপে ডাচদের কাঁদিয়ে আপনার জয়োল্লাস করার দৃশ্য ফুটবলপ্রেমীদের অনেকদিন মনে থাকবে! মাদ্রিদের দশম চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ের পরে আপনার ট্রফি উঁচিয়ে ধরাও যেকোনো মাদ্রিদিস্তার মনে থাকবে আজীবন। যেমন মনে থাকবেন আপনিও।

মাদ্রিদের জার্সিতে জেতা তিনটা চ্যাম্পিয়নস লীগ, একটা ক্লাব বিশ্বকাপ, পাঁচটা লা-লীগা টাইটেল, দুইটা কোপা ডেল রে, চারটা স্প্যানিশ সুপার কাপ, দুইটা ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জেতা জানান দেয় আপনার আভিজাত্য।

আরেকবার বলেছিলেন, ‘I don’t want to be remembered as a good goalkeeper, I want to be remembered as a great person!’

প্রিয় ইকার ক্যাসিয়াস আপনি সম্ভবত পেরেছেন। কয়েক যুগ পরেও লোকজন আপনাকে শুধু ভালো গোলকিপার না, ভালো মানুষ হিসেবেও মনে রাখবে নিশ্চিত।

বছরখানেক আগে আপনি হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন; আমার মনে হয়েছিল যেন কোন নিকটাত্মীয় অসুস্থ হয়েছে। সবার প্রার্থনায় আপনি সুস্থ হয়েছেন। ফুটবল মাঠে আপনাকে আর দেখব না এটা আমি চিন্তাই করতে পারিনা। কিন্তু করতে হবে, কষ্ট হলেও। যেমন সান্টিয়াগো বার্নাবুর গোলবার আপনাকে প্রচণ্ড মিস করে। এইতো সেইদিন মাদ্রিদে এসেছিলেন, এরপরে মাদ্রিদে কাটিয়ে দিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রায় দুই দশক। আপনার মাদ্রিদ ছাড়ার দিনে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আপনার বিদায়টা ভালভাবে হয়নি। তবুও আপনি মনেপ্রাণে এখনো একজন মাদ্রিদিস্তা। মাদ্রিদের প্রচণ্ড রকমের শুভাকাঙ্ক্ষী। মাদ্রিদের ম্যাচ দেখেন, মাদ্রিদের জয় কামনা করেন। আপনি মাদ্রিদকে ভুলেননি আমরাও আপনাকে বা আপনার সকল ম্যাচ জয়ী পারফরমেন্স কখনো ভুলবো না! কারণ ‘Once a Madridista, Always a Madridista!’ এর সর্বোত্তম উদাহরণ তো আপনিই!

ক্লাব ছাড়ার সময় আপনি বলেছিলেন; আপনি যেখানে থাকবেন সবসময় ‘আলা মাদ্রিদ’ বলে চিৎকার করবেন। আপনার থেকে সেরা মাদ্রিদিস্তা সম্ভবত আর কেউ নেই। মাদ্রিদিজম আপনার থেকেই শিখা যায়। মাদ্রিদের প্রতি আপনি যে ভালোবাসা শিখিয়েছেন সেটা অনেককাল থাকবে নিশ্চিত।

পৃথিবীজুড়ে অসংখ্য ফুটবলার। কেউ মন্দ, কেউ ভালো তবে সেইন্ট ইকার ক্যাসিয়াস একজনই ।

সিনেমার রিল টানার কাজ করার সময় যদি তাকে বলা হত একদিন তিনি বড় কোচ হবেন, তাহলে কি সেই ভবিষ্যত বাণী বিশ্বাস করতেন?  ইয়ুর্গেন ক্লপ | Jürgen Klopp

সিনেমার রিল টানার কাজ করার সময় যদি তাকে বলা হত একদিন তিনি বড় কোচ হবেন, তাহলে কি সেই ভবিষ্যত বাণী বিশ্বাস করতেন? ইয়ুর্গেন ক্লপ | Jürgen Klopp

সিনেমার রিল টানার কাজ করার সময় যদি তাকে বলা হত একদিন তিনি বড় কোচ হবেন, তাহলে কি সেই ভবিষ্যত বাণী বিশ্বাস করতেন?

“আমি যে একদিন কিছু একটা করব তা আমি জানতাম। সেটুকু বিশ্বাস না করলে আর এতোদূর আসতে পারতাম না।”

ক্লপ মিরাকলে বিশ্বাস করেন না। আত্মবিশ্বাস তার মূল পুঁজি। আত্মবিশ্বাসের আবার ধরন আছে। আপনি যখন দেয়ালে ঠেকে গেছেন, তখন আত্মবিশ্বাসই কেবল আপনাকে ফেরাতে পারে। নইলে দুর্গম পথ আপনার পাড়ি দেওয়া হবে না। এক কোণায় জীর্ণ হয়ে পড়ে থাকবেন। আবার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আপনাকে ডোবাতেও পারে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কাল হয় কখন?

লিভারপুল যে এবার লিগ জিতছে সেটা মোটামুটি গত ডিসেম্বর নাগাদই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দিন যায়, ম্যাচ যায়- লিভারপুল একই গতিতে ছোটে। সাংবাদিকরাও একই প্রশ্ন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান। শিরোপা কি তাহলে এবার লিভারপুলই জিতছে? ক্লপ বলেন, “না, গাণিতিক হিসাবে যতক্ষণ না চ্যাম্পিয়ন ততোক্ষণ পর্যন্ত লিগ জেতার পথে লিভারপুল আগায়নি।”

আত্মবিশ্বাসের লাগাম কোথায় কখন কীভাবে টেনে ধরতে হয় সেটা ক্লপের জানা। মোটিভেশনাল স্পিচের যুগে ক্লপের সংবাদ সম্মেলন একেকটা ঐশীবাণী আপনার জন্য।

লোকে বলে পৃথিবীতে দুই ধরনের লোক আছে। একদল ক্লপকে প্রকাশ্যে ভালোবাসে, আরেকদল ক্লপকে ভালোবাসে গোপনে।

(২৪ জুলাই, ২০২০)

 

Home
Sports
Movies
TV Show
Telegram