site loader
'; } ?>
রিয়ালের ভিনি ও ব্রাজিলের ভিনির মধ্যে এতো পার্থক্য কেন?

 

যারা বলে ভিনি ক্লাবে ভালো খেলে, কিন্তু জাতীয় দলে আন্ডা মারে। এই পোস্ট টা তাদের জন্য।

 

এই পোস্ট পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন ভিনির ক্লাব আর জাতীয় দলে ফর্ম ভিন্নতার কারণ।

 

দেখুন, একটা খেলার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে মিডফিল্ড। যারা ডিফেন্স কেও সাপোর্ট দেয় আবার ফরোয়ার্ডদেরকেও বল সাপ্লাই দেয়। এবং খেলার কন্ট্রোল নিজেদের করে আনতে বল দখল বেশি রাখা এই তিনটা কাজ হলো মিডফিল্ডারদের প্রধান কাজ।

 

আসুন একটু ব্যাখ্যা করি নাম্বার বাই নাম্বার।

(১) ডিফেন্সকে সহায়তা, মিডিল্ডাররা যদি ডিফেন্সে বল আসার আগে মিডফিল্ডে থাকতেই বলকে আটকে ফেলতে পারে তাহলে প্রতিপক্ষ এখানেই কুপোকাত। যা ডিফেন্সদের জন্য অনেক বড় হেল্পফুল। যদিও এটা সচরাচর হতে দেখা যায় না।

২) খেলার কন্ট্রোল: আপনি যদি খেলাকে কন্ট্রোলে আনতে চান তাহলে একমাত্র উপায় হচ্ছে, বল দখল বেশি রাখা আর নিখুঁত পাস। যেটা করতে হয় মিডফিল্ডারদের।

যদি এই কাজ টা করতে না পারে তাহলেই খেলা হয় এলোমেলো আর ছন্নছাড়া। মানে যাতা আর কি।

 

(৩) বল সাপ্লাই: খেলার রেজাল্ট বের করে আনা বা গোল করা এটা মিডফিল্ডদের কাজ নয়। এটা ফরোয়ার্ডদের কাজ। কিন্তু ফরোয়ার্ডরা এটা কখনোই পারবে না যদি না তারা মিডফিল্ড থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বল সাপ্লাই না পায়।

আর এই সমস্যা টাই জাতীয় দলে হচ্ছে ভিনির সাথে।

ব্রাজিলিয়ানরা ভিনিকে যেভাবে দেখে

 

এখন আসুন একটু ক্লাবের ভিনিকে নিয়ে কথা বলি তারপর জাতীয় দলের ভিনিতে আসছি।

 

🔶 ক্লাবে ভিনিসিয়াসের সাথে মিডফিল্ডে যাদের ক্যামেস্ট্রি টা হয় তারা হলো, ব্যালিংহাম, ভালভার্দে, টনি ক্রুস, চুয়ামিনি, লুকা মড্রিচ, কামাভিঙ্গা। যদিও সবাই একসাথে শুরু করে না। এই যে নামগুলো তারা হচ্ছে মিডফিল্ডার। কেমন মিডফিল্ডার ? এক কথায় বিশ্ব মানের।

 

তারা প্রত্যেকেই জানে তাদের কাজটা কি মাঠের মধ্যে। এবং তারা সেটা করতে সক্ষম হয় সর্বদাই। এবং তাদের থেকে ভিনি যে পরিমাণ বল সাপ্লাই পায়। সেটা বিশ্বের আর কোনো ক্লাবের মিড থেকে আর কোনো প্লেয়ার পায় বলে আমার মনে হয় না। এবং যে পাস গুলো পায় সেটা একেবারেই নিখুঁত হয় ১০০% । ভুল কোনো পাস হয় না।

রিয়াল মাদ্রিদ এর প্লেয়াররা যেভাবে ভিনি কে দেখে

 

 

 

তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে, এতো নিখুঁত মিডফিল্ডার হওয়া সত্ত্বেও আবার ৪ জন মিড থাকে রিয়ালে। যেখানে অন্যান্য জায়গায় ৩ জন থাকে।

তো এরকম সাপোর্ট আর এরকম বিশ্ব মানের মিডফিল্ড থেকে এতো বেশি বল সাপ্লাই পেলে ভালো করবে না কে ?

 

🔷এখন আসি জাতীয় দলে: জাতীয় দলে যাদের সাথে ভিনির বল নিয়ে সম্পর্ক টা হয় তারা কারা ? গোমেজ, পাকুয়েতা, ব্রুনো, দগলাস লুইস, পেরেইরা। তারাও কিন্তু জানে যে তাদের কাজটা আসলে কি খেলায়। কিন্তু তারা সেটা করতে ১০০% সক্ষম হয় না। কিসের ১০০% তারা ৬০% ও সক্ষম হয় না।

যে পরিমাণ বল ব্যালিংহাম, ভালভার্দে, টনি ক্রুস রা সাপ্লাই দেয় ভিনিকে। তার অর্ধেকও জাতীয় দলের মিডফিল্ডার রা দিতে পারে না। আর মাঝে মাঝে দুই একটা দিলেও সেটা নিখুঁত হয় না। তাছাড়া খেলেও আবার ৩ জন মিড। যেখানে ক্লাবে ৪ জন। এজন্যই ভিনি জাতীয় দলে ব্যর্থ এবং সমালোচিত। যদিও জাতীয় দলের মিডফিল্ডারদের কোয়ালিটি নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু তারা চায় নিজেরা নিজেদেরকে সেরা হিসেবে প্রমাণ করতে। আর ব্যক পাস দেয় বেশি। পাকুয়েতা ক্লাবে ১০ নাম্বার জার্সি পরে মেইন ম্যান হয়ে খেলে। সেজন্য সে জাতীয় দলেও তার প্রভাব দেখাতে চায়। সে নিজে গোল করতে চলে যায় অধিকাংশ সময়। যা আদৌ তার কাজ না। আপনি ব্রাজিলের খেলায় প্রতিটা জয়ে গোলের পিছনে মিডফিল্ডারদের এসিস্ট কমই দেখবেন। যতোদিন না ভিনি ক্লাবের মতো জাতীয় দলে প্রচুর পরিমাণে বল সাপ্লাই না পাবে ততোদিন তার থেকে ভালো কিছু আপনি দেখতে পাবেন না। ফুটবল টা একার খেলা নয়।

 

তবে হ্যাঁ, যদি জাতীয় দলে নেইমার থাকতো তাহলে তো কোনো কথাই ছিল না। আচ্ছা আপনি কি ভিনির বিশ্বকাপের পারফর্মেন্স নিয়ে আঙ্গুল তুলতে পারবেন ?

 

কখনোই পারবেন না, কেননা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে যারা সেরা পারফর্মেন্স করেছে তাদের মধ্যে ভিনি অন্যতম। কারন কি, একজন নেইমার ছিল।

সত্যি বলতে নেইমার হচ্ছে এমন এক নাম, যে মাঠে এক সাথে ৩/৪ টা রুল প্লে করতে পারে। যেহেতু নাই আফসোস করে লাভ নাই। এখন নেইমারের দায়িত্ব টা কিছুটা হলেও ব্রুনো, পাকুয়েতাদের কাধে নিতে হবে।

 

তাছাড়াও আরো কয়েকটি কারণ আছে জাতীয় দলে ভিনি খারাপ খেলার পেছনে। সেগুলো অন্যদিন আলোচনা করবো। যদি সাপোর্ট পাই।

 

সুতরাং, অযথাই ভিনিকে না দোষে আগে মিডফিল্ড নিখুঁত হওয়ার জন্য কাজ করতে হবে দরিভাল কে। ধন্যবাদ সবাইকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Sports
Movies
TV Show
Telegram